রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় এক মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে খুন হন হযরত আলী। ওই ঘটনার চার ঘণ্টার মধ্যে আসামি মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে তাদের মধ্যে মাদক নিয়ে হাতাহাতি হয়। পরে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) আলী কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তার ওপর হামলা করে সেলিম।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দক্ষিণখান থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, সকালে দক্ষিণখান গাওয়াইর বাজারের পাশে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় অপরাধী। সেখান থেকে আহত অবস্থায় আলীকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা করে নিহতের বড় ভাই আসাদুল জামান। পরে অভিযুক্ত আসামিকে উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, তারা উভয়ে মাদকসেবী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাদক নিয়ে ঝামেলার জের ধরে এই খুনের ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া উপজেলার চৌদার গ্রামের রাজমিস্ত্রী আব্দুর রশিদের ছেলে নিহত আলী। তিনি পরিবারের সঙ্গে গাওয়াইর খলিল বক্স রোড এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তিন নম্বর। উত্তরার আজমপুর এলাকার একটি স’মিলের শ্রমিক ছিলেন।
নিহত আলীর বড় ভাই আসাদুল জামান জানান, আজমপুর এলাকায় স'মিলে যাওয়ার পথে তার ওপর হামলা চালায় সেলিম। তারা ১০টার দিকে খবর পেয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আলীকে আহত অবস্থায় পায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আসাদুল জানান, সেলিম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনার পর জানতে পারি, গত রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। সেই জের ধরেই সেলিম তাকে ছুরিকাঘাত করে।