মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে সম্প্রতি আলোচনার শীর্ষে বলিউড অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। জানা গিয়েছিল, রাবিনার ড্রাইভার বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মুম্বাইয়ের কার্টার রোডে রিজভি কলেজের সামনে একই পরিবারের তিনজনকে আহত করেন। তবে তদন্তে নামতেই অন্য তথ্য প্রকাশ্যে আনলো মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতেই দেখা গেলো, অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডনের গাড়ি কাউকে ধাক্কা মারেনি! উল্টো উত্তেজিত জনতার হাতে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।
এর আগে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, রাবিনার গাড়ির চালক তার মা’কে মারধর করেন। তার দাবি, তার মা, বোন ও ভাইঝি হাউসিং সোসাইটির বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেই সময় রাবিনার গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে তাদের ধাক্কা মারে।
তবে মুম্বাই পুলিশ বলছে, খারের যে বিল্ডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে তার আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে মহিলারা অভিনেত্রীর গাড়ির কাছাকাছি ছিলেন তবে তারা এতে আঘাত পাননি। রবিবার (২ জুন) দিনভর এই ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলার পর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি সংবাদের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন রাবিনা। সেখানে লেখা রয়েছে, মুম্বাই জোন ৯-এর ডিসিপি জানান, অভিযোগকারী ভুয়ো অভিযোগ জানিয়েছিল। আধিকারিক আরও জানান, উত্তেজিত জনতা রাবিনার গাড়ির চালককে ঘিরে ধরলে তাকে উদ্ধার করতে নেমে আসেন রাবিনা।
মূলত জনতার সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামার পর তাকে রীতিমতো গালিগালাজ করা হয়, ধাক্কা মারা হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রাবিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্লিজ আমাকে মারবেন না’। ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন যে অভিনেত্রী মদ্যপ ছিলেন এবং গাড়ি থেকে নেমে মহিলাকে মারধর শুরু করেন। যদিও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাবিনা মদ্যপ ছিলেন না, জানিয়েছে পুলিশ।
বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই খার থানায় গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পরে অবশ্য নিজেদের মধ্যে ব্যাপারটি মিটিয়ে নিয়ে কোন অভিযোগ না করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই পক্ষ।
তবে রাবিনাকে হেনস্থা করার ভিডিও সামনে আসার পর অভিনেত্রীর অভিযোগ না জানানোর সিদ্ধান্তে সমালোচনায় মুখর হন অনেকেই। এই রকম মিথ্যা অভিযোগকারীদের শাস্তি হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তারা।