ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তান-উগান্ডা ম্যাচে যত রেকর্ড

উগান্ডার বিপক্ষে একপেশে এক জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে আফগানিস্তান।
  • | ০৪ জুন, ২০২৪
আফগানিস্তান-উগান্ডা ম্যাচে যত রেকর্ড আফগানিস্তান-উগান্ডা ম্যাচের টসের ছবি

উগান্ডার বিপক্ষে একপেশে এক জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে আফগানিস্তান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই তাদের ওপর আছে বিশ্ব ক্রিকেটের আলাদা নজর। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা তো বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশ্বকাপের সেরা চার বাছাই করতে গিয়ে আফগানিস্তানকে অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। বিশ্বকাপের নবম আসরের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং দুই ইভেন্টেই আফগানিস্তানের কাছে পাত্তা পায়নি উগান্ডা। নবাগত উগান্ডার বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে তারা।

এই এক ম্যাচেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে দেখা গেল বেশ কিছু রেকর্ড। এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেসব রেকর্ডের দিকে-

১৫৪
উদ্বোধনী জুটিতে ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের করা ১৫৪ রান বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এর আগে বিশ্বআসরে উদ্বোধনী জুটি থেকে কখনোই ১০০ রান দেখেনি আফগানরা। শুধু তাই নয়, এমনকি টি-টোয়েন্টিতেও কেবল দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান শতরান পার করেছে। এর ওপরে আছে ২০১৯ সালে দেরাদুনে হযরতউল্লাহ জাজাই এবং উসমান গণির ২৩৬ রানের জুটি।

৬৬
বিশ্বকাপের পাওয়ারপ্লেতে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগের রেকর্ড ছিল ২০১৬ সালে ২ উইকেটে ৬৪ রান। সেই রান তারা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ৮ বছর পর আজ টপকে গেল আগের সেই সংগ্রহ।

৩২.৩৫
উগান্ডার রিয়াজাত আলী শাহের স্ট্রাইকরেট। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ৩৪ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির ইনিংস। এতে করে তিনি পেছনে ফেলেছেন ভারতের বিপক্ষে ডোয়াইন স্মিথের ৩৭.৯৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসকে। তিনে আছে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অলক কাপালির ৪০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি।

৫৮
উগান্ডার আজকের সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় প্রথম দুইবারই নাম আছে নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাচরা করেছিল ৩৯ রান। ২০২১ সালে এসে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা করে ৪৪ রান। তিনে আছে ২০২১ বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৫ রানের সংগ্রহ।

৯/৫
ফজলহক ফারুকির বোলিং ফিগার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সেরা। ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় সবার ওপরে সাবেক লংকান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। ২০১২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রান ৫ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের উমর গুল।


আফগানিস্তানের বিপক্ষে উগান্ডার শুরুর তিন ব্যাটার রান করেছেন যথাক্রমে ৪, ৪ ও ০। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৭ম বার এমন হলো যেখানে কোনো দলের টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটার ৪ বা এর কম রানে আউট হয়েছেন।


টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের হয়ে ২য় বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন ফারুকি। এর আগে ২০২১ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। একইসঙ্গে তার আজকের ৯ রানে ৫ উইকেট বিশ্বকাপে পেসারদের মধ্যে ২য় সেরা। তার ওপরে আছেন পাকিস্তানের উমর গুল।

১২৫
আফগানিস্তানের জয়ের ব্যবধান। এটিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ জয়ের ব্যবধান। সর্বোচ্চ ১৭২ রানের জয় শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে এই জয় পেয়েছিল তারা। ১৩০ রানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুইবারেই প্রতিপক্ষ ছিল স্কটল্যান্ড। এই তিন জয়ের পরেই আছে আফগানদের আজকের জয়।