উত্তর কোরিয়ার সফর শেষ করে কমিউনিস্ট শাসিত আরেক রাষ্ট্র ভিয়েতনামে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে তিনি দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরে ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী চান হোং হা এবং দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিক লে হাই চুং পুতিনকে স্বাগত জানান ও লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেন।
সফর উপলক্ষে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র নান জানে লেখা এক নিবন্ধে পুতিন ইউক্রেইনের ‘সঙ্কট সমাধানে একটি বাস্তবসম্মত পথকে’ সমর্থন করায় হ্যানয়ের প্রশংসা করেন। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে ভিয়েতনামের ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ অবস্থানের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুতিন নিজের লেখায় দুই দেশের মধ্যে আর্থিক, জ্বালানি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা করেনি ভিয়েতনাম, তাই পশ্চিমা দেশগুলো হ্যানয়ের এ অবস্থানকে ‘ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে বিবেচনা করে।
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া, উভয়েই আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুখে থাকলেও ভিয়েতনাম সতর্কতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি মিত্রতা গড়ে তুলেছে।
পুতিন মে মাসে পঞ্চম মেয়াদের জন্য ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চীন ও উত্তর কোরিয়া সফরের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে ভিয়েতনামে গেলেন। ২০১৭ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে সফরে গেলেও এ নিয়ে মোট পাঁচবার ভিয়েতনামে গেলেন পুতিন। দেশটি পুতিনকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানায়। এ সফরে পুতিন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নেয়ন ফু চং, প্রেসিডেন্ট তো লাম ও প্রধানমন্ত্রী ফাম মিং চিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠাতা নেতা হো চি মিনের সমাধিও পরিদর্শন করবেন। অতীত কমিউনিস্ট শাসনের সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। শীতল যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির হাজার হাজার কর্মী সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যেতো, দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রধান নেয়ন ফু চংও তাদের মধ্যে ছিলেন।