লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের একটি নৌঘাঁটিতে ‘নিখুঁতভাবে’ আঘাত হানতে সক্ষম এক ঝাঁক আত্মঘাতী ‘কামিকাজে’ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি ইসরাইলের ‘রাস আন-নাকুরা’ ঘাঁটিতে অবস্থিত এমন কয়েকটি ভবনে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে যেসব ভবন ইসরায়েলি সেনা অফিসার ও সাধারণ সৈনিকেরা ব্যবহার করে। খবর মিডলইস্ট মনিটরের।
হামলায় নৌঘাঁটিটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিশ্চিতভাবে বহু সেনা হতাহত হয়েছে। তবে এই হামলার ব্যাপারে এখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে এবং দক্ষিণ লেবাননের দেরকিভা শহরে বৃহস্পতিবারের ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই নৌঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। দেরকিভা শহরের হামলায় এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা প্রাণ হারান। পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এই সংগঠন অধিকৃত শেবা কৃষিখামারের রুওয়াইসাত আল-কার্ন ও জিবদিন ঘাঁটি এবং কুফার শুবা পাহাড়ের রামথা ও আল-সামাকা ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থনে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার তালেব সামি আব্দাল্লাহ নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল-বিরোধী হামলা জোরদার করেছে এই প্রতিরোধ সংগঠন। এর জের ধরে শীর্ষ পর্যায়ের ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তারা সম্প্রতি লেবাননে ‘ব্যাপক-মাত্রায়’ হামলা চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করেন।
ওই একই দিন হিজবুল্লাহ গোয়েন্দা ড্রোন পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার ভিডিও তুলে তা প্রকাশ করলে তেলআবিব হতচকিত হয়ে যায়। এরপর গত বুধবার হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লেবাননে ব্যাপক মাত্রায় আগ্রাসন চালানো হলে ইসরায়েলের এক ইঞ্চি ভূমিও হিজবুল্লাহর রকেট হামলা থেকে বাঁচতে পারবে না।
একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকে আগ্রাসন চালানোর কাজে সহযোগিতা করলে সাইপ্রাসেও হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।