ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পাজেশকিন। এখন পর্যন্ত তিনি গণনা করা ভোটের মধ্যে ৪২.৩২ শতাংশ ভোট (৫ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮১) পেয়ে এগিয়ে আছেন।
শনিবার (২৯ জুন) গণনার প্রথম দিকে এগিয়ে ছিলেন, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি। এখন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ অর্থাৎ গণনা করা ভোটের ৩৯.৫১ শতাংশ। খবর তাসনিম নিউজের।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহসেন ইসলামী রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। দেশটির ধর্মীয় নেতারা যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতির আশা করেছিলেন, এটি তার চেয়ে অনেক কম।
ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি ‘রানঅফ’ অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় গড়াবে এটি অনেকটাই নিশ্চিত।
ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে। কোনো প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারলে নির্বাচন গড়াবে রানঅফে। যেখানে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুজন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এরফলে শুক্রবারের (২৮ জুন) নির্বাচনে চার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছিল সংস্কারবাদী মাসুদ পাজেশকিন সর্বোচ্চ ভোট পাবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।