পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান আরও একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অভিযোগে করা এ মামলায় তাকে খালাস দিয়েছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) এই রায় ঘোষণা হয়। খালাস পাওয়া অন্য নেতারা হলেন— শাহ মাহমুদ কুরেশি, শেখ রাশেদ, আসাদ কায়সার, শেহরিয়ার আফ্রিদি, ফয়সাল জাভেদ, রাজা খুররম নওয়াজ ও আলী নওয়াজ আওয়ান।
২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোষাখানা দুর্নীতির মামলা দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই মামলার প্রতিবাদে কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন পিটিআই নেতারা। এরপর ওই বিক্ষোভের জন্যও মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলায় আজ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির মেহমুদ ইমরান খানসহ অন্যদের মুক্তি দেন। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি শেষ হয়।
এর আগে ইদ্দতকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ পান ইমরান খান ও তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবি। সেই দণ্ড বাতিলের জন্য একটি আবেদন করলে গত ২৭ জুন তা খারিজ করে দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত।
বিচ্ছেদের পর ইদ্দতের ৯০ দিন শেষ হওয়ার আগেই বুশরা বিবি ও ইমরান খান বিয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এবং তারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছেন— এমন অভিযোগে মামলাটি করেন বুশরার সাবেক স্বামী খাওবার মানেকা।