গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ইসরায়েল সম্মত হলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে জিম্মি করে রাখা ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষদের মুক্তি দেয়া হবে বলে হামাসের এক শীর্ষ নেতা শনিবার (৬ জুলাই) ঘোষণা দিয়েছেন। খবর রয়টার্স ও জেরুজালেম পোস্টের।
রয়টার্সয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, মার্কিন প্রস্তাব অনুসারে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলি জিম্মি, আটককৃত সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিদের মুক্ত করার বিষয়ে শিগগির আলোচনা শুরু হবে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি আলোচক দল কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। ১৬ দিন পর এই যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবারো শুরু হতে যাচ্ছে।
১ জুন গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি তিন স্তরবিশিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন জো বাইডেন। তার প্রস্তাব অনুসারে, প্রথম স্তরে গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। এই পর্বে রাফাসহ গাজার অন্যান্য জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি কয়েক শ’ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে নিজেদের কব্জায় থাকা কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এই দফায় যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে, তাদের মধ্যে বয়স্ক এবং নারীরা প্রাধান্য পাবেন।
এ ছয় সপ্তাহের প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করবে অন্তত ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। হামাস এবং ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ও প্রতিরক্ষাবাহিনী এই পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাবে। যদি এই আলোচনা ৬ সপ্তাহ সময়সীমার মধ্যে শেষ না হয়, তাহলে পরিকল্পনার প্রথম পর্ব বা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়বে।
এই পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেবে হামাস এবং তার বিনিময়ে গাজার বাসিন্দারা পাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। পরিকল্পনার তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভবন-রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
হামাসের সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবের প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার ১৬ দিন পর থেকে নিজেদের কব্জায় থাকা সব ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া শুরু করবে গোষ্ঠীটি।