ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হাদিসে বর্ণিত জুমার দিনে ১৭টি করণীয়

মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সেরা দিন- জুমার দিন। এ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল— জুমার নামাজ।
  • | ০২ আগস্ট, ২০২৪
হাদিসে বর্ণিত জুমার দিনে ১৭টি করণীয় ফাইল ছবি

মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সেরা দিন- জুমার দিন। এ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল— জুমার নামাজ। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে এ দিনে ১৭টি করণীয় উল্লেখ করেছেন।


চলুন জেনে নেওয়া যাক ১৭টি করণীয় কি কি;

১. গোসল করা, (বুখারি, হাদিস: ৮৭৭)


২. মিসওয়াক করা, (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)


৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা, (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৩)


৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা, (বুখারি, হাদিস: ৮৮০)


৫. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া, (বুখারি, হাদিস : ৯১০, ৮৮৩)


৬. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা, (বুখারি, হাদিস : ৯১১)


৭. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই সালাত আদায় করা, (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৬২)


৮. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা, (বুখারি, হাদিস : ৯৩০)


৯. গায়ে তেল (লোশন) ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮৩)


১০. পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা, (মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)


১১. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা, (বুখারি, হাদিস : ৮৫৩)


১২. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১৯)


১৩. ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১০)


১৪. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১০৮)


১৫. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তিলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৩২)


১৬. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতে বলাও বেহুদা কাজ।(আবু দাউদ, হাদিস : ১১১২)


১৭. বেশি বেশি প্রার্থনা (দোয়া) করা। (বুখারি, হাদিস : ৯৩৫)


এই ১৭টি কাজ যথাযথ পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এই জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)