সলোমন দ্বীপপুঞ্জের আইনপ্রণেতারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চীনপন্থী জেরেমিয়া মানেলেকে নির্বাচিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে এই ইঙ্গিত দেয় যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপটি বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে থাকবে। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাথিউ ওয়ালেকে ৩১-১৮ ভোটে পরাজিত করেন জেরেমিয়া মানেলে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ছিলেন পশ্চিমাদের কট্টর সমালোচক।
২০১৯ সালে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ যখন তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক পাল্টে চীনকে সমর্থন দেয়, তখন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মানালে। এই পদক্ষেপটি আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের হতবাক করে। তিনি ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, দ্বীপের গোপন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত রাখবেন।
বিরোধী প্রার্থীরা চুক্তিটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় এটির সম্পূর্ণ বর্ণনা জনগণের কাছে প্রকাশের কথা বলেন।
কিন্তু বিশ্লেষকরা আশা করছেন, মানেলে তার পূর্বসূরিদের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো সলোমনের ঐতিহ্যবাহী পশ্চিমা অংশীদারদের প্রতি কম সংঘাতমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কূটনৈতিক যোগাযোগে তাকে আরও দেখা যাবে।
এদিকে, জেরেমিয়া মানেলেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। নতুন নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ বলেও জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
শত শত দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দরিদ্র দেশে প্রায় ৭ লাখ মানুষ বাস করেন। রাজধানী হোনিয়ারার বাইরে ৮০ শতাংশেরও বেশি বসবাস করে এবং তারা বিদ্যুৎ, স্কুল, চিকিৎসা এবং গণপরিবহনের মতো মৌলিক পরিষেবাগুলো সহজে পায় না।
সূত্র: বিবিসি