ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেট বন্ধের কারণ নিয়ে পলক মিথ্যাচার করেছেন

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
  • | ১৩ আগস্ট, ২০২৪
ইন্টারনেট বন্ধের কারণ নিয়ে পলক মিথ্যাচার করেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়ে সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির কাছে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। তার মৌখিক নির্দেশে বন্ধ হয় ইন্টারনেট। ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, তথ্যপ্রবাহ বন্ধের কারণে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশে সোমবার (১২ আগন্ট) ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫–১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮–২৩ জুলাই ও ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়। অপরদিকে, ১৭–২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডেটা সেন্টার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।

ডাক ও রেলযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেফায়েত হোসেন জানিয়েছেন, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বর্তমানে অধিকতর তদন্ত চলমান।