ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ এনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে এটিকে ‘যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে’ ব্যবহার করেছে বলেও দাবি করা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তির লঙ্ঘন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাশিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘সব সময়ের মতো তাদের এবারের অভিযোগও পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করতে দম বন্ধ করার রাসায়নিক ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করছে ক্রেমলিন। এর ফলে রাশিয়া অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি ভঙ্গ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
রাশিয়াসহ বিশ্বের ১৯৩টি দেশ রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে নতুন রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাক্ষর করা দেশগুলো এই চুক্তি মেনে চলছে কি না, তার ওপর নজরদারি করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও রয়েছে।
সংস্থাটির বর্ণনামতে, রাসায়নিক অস্ত্র হলো এমন একটি পদার্থ, যার বিষাক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত মৃত্যু বা ক্ষতি করতে ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, রাশিয়া সুরক্ষিত অবস্থান থেকে ইউক্রেনের বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ক্লোরোপিক্রিন রাসায়নিক এজেন্ট ব্যবহার করছে। এটি একটি তৈলাক্ত পদার্থ, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ক্লোরোপিক্রিন ছাড়াও রাশিয়ান বাহিনী সিএস এবং সিএন গ্যাস লোড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। তারা বলছে, বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যের চিকিৎসা করা হয়েছে এবং টিয়ার গ্যাসে শ্বাসরোধে একজন মারা গেছেন।