ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

একজনের অপরাধের শাস্তি পরিবারের সবাইকে দেওয়া যায় না। অবৈধ নির্মাণ ভাঙা যেতেই পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সরকারকে কিছু কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়।
  • | ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যথেচ্ছ বুলডোজার চালানো যাবে না।

এখন থেকে ভারতে আর যথেচ্ছভাবে বুলডোজার চালানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনো ব্যক্তি কোনো মামলায় অভিযুক্ত হলে কিংবা দোষী সাব্যস্ত হলেও তার ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা যায় না। বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকা উচিত বলেও জানিয়েছেন আদালত।

অপরাধের মামলায় অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজারের মাধ্যমে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। দুই বিচারপতির প্রশ্ন, অভিযুক্ত হলেই একজনের বাড়ি ভেঙে ফেলা যায়? দোষী সাব্যস্ত হলেও ভেঙে ফেলা যায় না।

তারা আরও মন্তব্য করেন, একজনের অপরাধের শাস্তি পরিবারের সবাইকে দেওয়া যায় না। অবৈধ নির্মাণ ভাঙা যেতেই পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সরকারকে কিছু কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়। যেমন প্রথমে নোটিশ দিতে হয়। নোটিশের উত্তর দেওয়ার জন্য সময় দিতে হয়। ভাঙার প্রশ্ন আসে তারপর।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত বা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নামই হয়ে গেছে ‘বুলডোজার বাবা’। দেশটির বিরোধীদের অভিযোগ, বেছে বেছে তাদের ঘরবাড়িই ভাঙা হয় যারা রাজনৈতিকভাবে বিজেপির বিরোধী কিংবা মুসলমান। এ প্রবণতার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।

বিচারপতিরা বলেন, তারা অবৈধ নির্মাণের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন না। যে নির্মাণ রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করে, তা মন্দির নির্মাণও হতে পারে, অবশ্যই ভেঙে দেওয়া দরকার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর।