ইসরায়েল স্বীকার না করলেও মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) বর্ণনা করেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কতটা বিধ্বংসী। ডব্লিউএসজে লিখেছে, বেশ কয়েকটি এলাকায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। খবর তাসের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরান তার সাম্প্রতিক হামলার জন্য ক্রুজ মিসাইলের চেয়ে বেশি গতিতে ভ্রমণকারী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইরান ১৮০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং এর মধ্যে ৩২টি ইসরায়েলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। এছাড়া তেলআবিবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
ডব্লিউএসজে আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের যে ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল এবং তাদের সরবরাহ খুবই সীমিত। এ কারণেই ইহুদি রাষ্ট্রটিকে কিছু অঞ্চলের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংবাদপত্রটি লিখেছে, যদিও কিছু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তেহরানের হামলা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, লেবাননভিত্তিক শিয়া আন্দোলন হিজবুল্লাহ এবং ইরানের এলিট ফোর্স আইআরজিসির সিনিয়র কর্মকর্তাদের হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ১ অক্টোব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালায়। তেহরান বলেছে তাদের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েল বলেছে, ইরান দেশটিতে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার বেশিরভাগই বাধা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি জেনারেল স্টাফ ইরানকে পাল্টা হামলা করে অবাক করার জন্য সঠিক মুহূর্ত বেছে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের হামলার চিন্তা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।