যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার গুলি বিনিময় হয়েছে। গুলিতে দক্ষিণ লেবাননে ১১ জন নিহত হয়েছেন। ভারী ইসরায়েলি হামলায় এসব মানুষ প্রাণ হারান। এর ফলে গত সপ্তাহে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি হুমকির মুখে পড়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তখন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে দেশটির পুরোনো শত্রু হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দিচ্ছিল ইসরায়েলও।
সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা তীব্র করে ইসরায়েল। একপর্যায়ে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেন ইসরায়েলের সেনারা। বৃহস্পতিবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে অন্তত ৩ হাজার ৯৬১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫২০ জন।
অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলায় উত্তর ইসরায়েল ও গোলান উপত্যকায় ৬৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৭৯ জন ইসরায়েলি সেনার প্রাণহানি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলায় হাজার হাজার মানুষ লেবানন–ইসরায়েল সীমান্ত থেকে পালিয়ে গেছেন।
সংঘাতময় এমন পরিস্থিতি থামাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সহায়তায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। বুধবার থেকে যা কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা সরাতে ৬০ দিন সময় পাবে ইসরায়েল। এই সময়টাতে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ একে অপরের ওপরে হামলা চালাতে পারবে না। এর প্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ওপর নজর রাখবে তারা। এ সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বন্দুকের ট্রিগারে আঙুল প্রস্তুত রাখা হবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গত কয়েকদিন লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটি। তবে গত কয়েকদিন তেমন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু নতুন করে গোলাগুলিতে ১১ জনের প্রাণহানির পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হুমকির মুখে পড়েছে।