শীতকালে খুশকি একটি সাধারণ সমস্যা, যা মাথার ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি এবং মৃত ত্বকের স্তর সৃষ্টি করে।এটি চুলের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য নষ্ট করে এবং কখনও কখনও সামাজিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে।তবে সঠিক যত্ন ও পদ্ধতির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
খুশকি হওয়ার কারণ
১. শুষ্ক আবহাওয়া: শীতকালে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, যা খুশকির মূল কারণ।
২. ফাঙ্গাল ইনফেকশন: মালাসেজিয়া নামক ফাঙ্গাসের অতিরিক্ত বৃদ্ধি খুশকির কারণ হতে পারে।
৩. ময়লা জমে থাকা: চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করলে মৃত কোষ জমে গিয়ে খুশকি হয়।
৪. বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারে প্রতিক্রিয়া: নিম্নমানের শ্যাম্পু বা কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহারে মাথার ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে খুসকি দূর করার উপায়
সপ্তাহে ২-৩ বার চুল ধোয়া। চুল পরিষ্কার রাখতে অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
গরম পানি এড়িয়ে চলা।শীতে গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।এর বদলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল ও লেবুর রস ব্যবহার: সমপরিমাণ নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান।এটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে কার্যকর।
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে।শ্যাম্পুর সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
মেহেদি ও টক দইয়ের মিশ্রণ: টক দই ও মেহেদি পাতা গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় লাগান।এটি মাথার ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে এবং খুশকি দূর করে।
অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।এটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খেলে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
পানি শীতকালে কম পান করা হলে ত্বক শুষ্ক হয়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?
খুশকির সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হয় এবং চুল পড়া বা ত্বকে সংক্রমণের মতো সমস্যা দেখা দেয়, তবে বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।