ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা আরাকান আর্মির দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দাবি করেছে, তারা দেশটির সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখল করেছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা আরাকান আর্মির দখলে সংগৃহীত

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দাবি করেছে, তারা দেশটির সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখল করেছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় গোষ্ঠীটি।


ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের খবরটি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী প্রকাশ করে।


ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫-এর ঘাঁটি দখল করে আরাকান আর্মি। জান্তার এই ঘাঁটি দখলের ফলে মংডু শহর সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।


আরাকান আর্মি আরও জানায়, ঘাঁটি থেকে পালানোর সময় তারা রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো যেমন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ), এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।


রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মংডুর সংঘর্ষে ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ অনেক সরকারি সেনাকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। আটক হওয়াদের মধ্যে সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনও রয়েছেন।


গত মে মাসে মংডু দখলের জন্য আক্রমণ শুরু করে আরাকান আর্মি। পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে তাদের ছয় মাস লেগেছে। এখন তারা দাবি করছে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের আরও দুটি শহর, বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া, তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


পালেতোয়া শহর ভারতের সীমান্তের সঙ্গেও সংযুক্ত। এই এলাকাগুলো দখল করে আরাকান আর্মি এখন দক্ষিণ রাখাইনের আরও কয়েকটি শহর, যেমন গয়া, তাউনগুপ এবং আন, দখলের জন্য লড়াই চালাচ্ছে।


জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল, রাখাইনে প্রায় ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। জান্তা বাহিনী প্রদেশের যোগাযোগ ও সরবরাহ অবরোধ করায় মানবিক সহায়তা, খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরায় চালু করা হলে রাখাইনের জনগণের দুর্দশা কিছুটা কমবে। একই সঙ্গে, বাংলাদেশ সরকার যদি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চায়, তাহলে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ সংলাপে অংশ নিতে হতে পারে।


thebgbd.com/NIT