ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, সময় নির্ধারণে রয়েছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, সময় নির্ধারণে রয়েছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সংগৃহীত

বিভিন্ন দলের নেতারা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে বিভিন্নমুখী মন্তব্য করেছেন। বিএনপি যেখানে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে, অন্যদিকে কিছু দল প্রাথমিক সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হলে চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা উচিত। তার মতে, এই সময়ের বেশি নিলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।


বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স জানিয়েছেন, সরকার আন্তরিক হলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে সময়োপযোগী নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। তার মতে, দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর প্রবণতা ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।


আওয়ামী লীগও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে হবে।


জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা সম্পন্ন করতে ছয় মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। তিনি সরকারকে এ বিষয়ে ধৈর্যশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।


ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান জানান, অবহেলায় কোনো নির্বাচন করা ঠিক হবে না। তার মতে, যথাযথ সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের প্রথমদিকে নির্বাচন হতে পারে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে ছয় মাস বা তার বেশি সময় লেগে যেতে পারে।


সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সময়ক্ষেপণ দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তিনি বলেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষ করা জরুরি।


সব মিলিয়ে, নির্বাচনের সময় নির্ধারণ এবং প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ওপর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপ বাড়ছে, যাতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।


thebgbd.com/AR