ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রেসিডেন্ট ভোটে হারের পর থেকে জো বাইডেনের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ঘরে-বাইরে। এ বার তাইওয়ানকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ও সহায়তা বাবদ ৫৭ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের সাহায্যের ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভ জানাল চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র সঙ্গে তুলনা করে তারা জানিয়েছে, এর পরিনতি ভাল হবে না।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তাইওয়ানকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং অস্ত্র সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। যে সমস্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তাইওয়ানকে বিক্রি করা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ট্যাকটিক্যাল রেডিয়ো সিস্টেম এবং গান মাউন্ট। পাশাপাশি সে দেশের সেনাকে অস্ত্র প্রসিক্ষণসহ আরও নানা খাতে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের কাছে হারের পরে প্রথমে রাশিয়ার ভিতরে আঘাত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে সম্মতি দিয়ে মস্কোকে এবং তার পরে তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্য দিয়ে চীনকে চটিয়ে ট্রাম্পের কাজ কঠিনতর করতে চাইছেন বাইডেন।
প্রত্যাশিত ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তাইওয়ান সরকার বলেছে, এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তাইওয়ানকে চীনের আগ্রাসন থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ। আগামী দিনেও এই রকমের সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিপুল সামরিক সাহায্যের তীব্র নিন্দা করেছে চীন। তাদের বক্তব্য, এর ফলে তাইওয়ান-বেইজিং বিরোধ আরও উস্কে দিতে চাইছে ওয়াশিংটন। চীনের আরও দাবি, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলি যতই চেষ্টা করুক, তাইওয়ান আসলে চীনের মূল ভূখণ্ডেরই অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।
সূত্র: এনবিসি
এসজেড