নেইমার জুনিয়রকে এক কথায় ব্যাখ্যা করতে গেলে শুধু একটা কথাই বলা যায়- আফসোস! কী হওয়ার কথা ছিল আর কী হয়েছেন, তা নিয়ে আক্ষেপ করা ছাড়া উপায় নেই। লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর তৃতীয় সেরা খেলোয়াড় হিসেবে যাকে বিবেচনা করা হতো, সেই নেইমার মাত্র ৩২ বছর বয়সে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন। একের পর এক ভয়ঙ্কর ইনজুরিতে ভুগে হারিয়ে যেতে বসেছেন। আর তার এই পতনের জন্য দায়ী করা হয় তার একটি সিদ্ধান্তকেই। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই অধঃপতনের শুরু এই ব্রাজিলিয়ান তারকার।
২০১৭ সালে সবাইকে অবাক করে বার্সেলোনা ছাড়েন নেইমার। দলবদল ফি'র বিশ্বরেকর্ড গড়ে স্পেনের ক্লাবটি ছেড়ে ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে যোগ দেন তিনি।
অনেকের ধারণা, নেইমারের বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনে লিওনেল মেসির হাত আছে। ক্লাবটির সর্বকালের সেরা মেসির আড়াল থেকে বেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে মেসির সঙ্গে নেইমারের দারুণ বন্ধুত্ব থাকার পরও এমন অভিযোগ হজম করা অনেকের জন্য কঠিন ছিল।
তবে নেইমারের বার্সেলোনা ছাড়ার ৭ বছর পর ভিন্ন কথা বলছেন তার বাবা নেইমার সিনিয়র। ও পাই নামে পরিচিত নেইমারের বাবার দাবি, মেসির ছায়া থেকে বের হওয়ার জন্য নয়, বরং মেসির ভূমিকায় খেলা এড়াতেই কাতালান ক্লাবটি ছেড়েছিলেন তিনি।
ব্রাজিলের জোতা জোতা পডকাস্টে নেইমার সিনিয়র বলেন, 'পিএসজিতে যাওয়াটা তার (নেইমার) সিদ্ধান্ত ছিল। স্পেনে তারা (বার্সেলোনা) নেইমারকে মেসির জায়গায় দেখতে চেয়েছিল। আমি চেয়েছিলাম সে কাতালোনিয়াতেই থাকুক, কিন্তু সে ছেড়েছিল, কারণ ক্লাবের প্রধান তারকা হতে চায়নি।'
পিএসজিতে ছয় মৌসুম কাটিয়ে ২০২৩ সালে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে পাড়ি জমিয়েছেন নেইমার। ক্লাবটির সঙ্গে তার ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। ২১ বছর বয়সে ২০১৩ সালে নেইমার ৮৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। বার্সেলোনায় যাওয়াটাও নেইমারের নিজেরই সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি করেন তার বাবা।
তিনি বলেন, 'বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি করাটা তারই (নেইমার) সিদ্ধান্ত ছিল। আমার হাতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাবও ছিল, যেটি এর চেয়ে তিনগুণ বড় ছিল। কিন্তু সে 'না' করে দেয়, কারণ সে লুইস সুয়ারেজ এবং মেসির সঙ্গে খেলতে চেয়েছিল। এটা তার স্বপ্ন ছিল।'
thebgbd.com/AR