সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুইদিন পরেও আগুনের কারণ স্পষ্ট নয়। এ ঘটনায় ৭ নম্বর ভবনের ছয়তলা থেকে নয়তলা পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজসহ ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার)। এছাড়া ভবনের আটতলায় একটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এই ঘটনা নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
সচিবালয়ের মতো কড়া নিরাপত্তার জায়গায় কুকুর কীভাবে প্রবেশ করল এবং এত উঁচু ভবনে পৌঁছাল—এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকে সন্দেহ করছেন, কুকুরটিকে হত্যা করা হয়েছে, অথবা এর শরীরে বিষাক্ত কিছু রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
কুকুরটির রহস্য উদঘাটনে তার মৃতদেহ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক বিভাগ কুকুরটির শরীরে বিষাক্ত কিছু ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, এটি সচিবালয়ে প্রবেশ করে ৮ তলায় কীভাবে পৌঁছাল, তা জানার চেষ্টাও চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের দেশি কুকুর, যাদের আমরা স্ট্রিট ডগ বলি, সাধারণত পরিচিত এলাকাতেই থাকে। সচিবালয়ের মতো জায়গায় এমন একটি কুকুরের প্রবেশ অস্বাভাবিক। কুকুরটি যদি গন্ধ পেয়ে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে যেত, তা হলেও নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে থামাতে পারতেন। এই ঘটনায় বেশ কিছু বিষয় সন্দেহজনক।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাথে এই কুকুরের মৃত্যু আদৌ কোনো সম্পর্কিত কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এই রহস্যজনক মৃত্যু এবং সচিবালয়ের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
thebgbd.com/NIT