মুসলিম নারীদের নিকাব পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা এ নিয়ে কথা বলেছেন।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে। সমাজ থেকে ফ্যাসিবাদ কিভাবে দূর হবে? ছোটবোন সাকাফির পোস্টটা দেখে মর্মাহত হলাম।”
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণ অভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেলের সহ-সমন্বয়ক নাফিসা ইসলাম সাকাফি একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি নিকাব পরে উপস্থিত হবেন। তবে টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ নিকাব পরিধান করে অংশগ্রহণে আপত্তি জানায়। পরবর্তীতে মাস্ক পরে অংশগ্রহণের প্রস্তাবও নাকচ করে তাকে বাদ দিয়ে অন্য অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাকাফি এই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আজ আমাকে নিকাবের জন্য বাদ দেওয়া হলো। আমি মাস্ক পরার প্রস্তাব দিলেও সেটি গ্রহণ করা হলো না।”
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে যাবে? কেউ যদি টি-শার্ট পরে টকশো করার স্বাধীনতা পায়, তাহলে নিকাব পরে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না কেন?”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ নিজের পোস্টে মন্তব্য করেন, “আমাদের নিকাব পরা বোনেরা যখন রাজপথে বুকে গুলি পেতে নিচ্ছিল, তখন তারা হাসিনার পা চাটার নেশায় বিভোর ছিল। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে ইসলামোফোবিয়া এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ দুটোর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
নিকাব নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে সহনশীলতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা আবার নতুন করে তীব্র হয়েছে।
thebgbd.com/NIT