ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আজানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম

আজানের উত্তর দেওয়া আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের একটি প্রকাশ এবং এটি মুমিনের জন্য বরকত ও পুরস্কার বয়ে আনে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
আজানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম ফাইল ছবি

আজান মুসলমানদের জন্য নামাজের আহ্বান। ইসলামে আজানের উত্তর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। আজানের উত্তর দিতে হলে মুয়াজ্জিনের প্রত্যেক বাক্যের পর একই বাক্য বলা উচিত। তবে যখন মুয়াজ্জিন "হায়্যা আলাস-সালাহ" এবং "হায়্যা আলাল-ফালাহ" বলেন, তখন তার উত্তর দিতে হবে "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ"।  


হাদিসে এসেছে, নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, "যখন তোমরা মুয়াজ্জিনকে শুনবে, তখন তোমরা তার কথার উত্তর দাও।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১১)। আরেকটি হাদিসে তিনি বলেছেন, "মুয়াজ্জিনের কথা অনুসরণ কর এবং প্রতিটি বাক্যের উত্তর দাও, এরপর আমার প্রতি দরুদ পাঠ কর।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৪)।  


আজানের শেষে "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকালাহু, ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু। রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়া বিল ইসলামি দিনা, ওয়া বি মুহাম্মাদিন রাসুলা" বলা সুন্নত। (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ৩৮৫)।  


আজানের পর মুনাজাত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আজানের পর এই দোয়াটি পড়বে, সে আমার সুপারিশের যোগ্য হবে।" দোয়াটি হলো: "আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ-দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওবআস্থ মাকামাম মাহমুদানিল্লাযি ওআ'দ্তাহু।" (বুখারি, হাদিস: ৬১৪)।  


আজানের উত্তর দেওয়া আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের একটি প্রকাশ এবং এটি মুমিনের জন্য বরকত ও পুরস্কার বয়ে আনে। সুতরাং, যথাযথ নিয়মে আজানের উত্তর দেওয়া এবং দোয়া করা উচিত।


thebgbd.com/NIT