ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সফরে থাকাকালীন আমল

সফরের আগে ইস্তিখারা করা সুন্নত। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইস্তিখারা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
সফরে থাকাকালীন আমল ফাইল ছবি

সফরে থাকাকালীন মুসলমানদের জন্য কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যা কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত। সফরের আগে ইস্তিখারা করা সুন্নত। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইস্তিখারা করার নির্দেশ দিয়েছেন।


সফরে বের হওয়ার সময় একটি বিশেষ দোয়া পড়া উত্তম, যা হলো: "সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাযা ওয়া মা কুন্না লাহু মুকরিনীন। ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লা মুনক্বালিবুন" (সূরা যুখরুফ: ১৩-১৪)। এছাড়া প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাদের জন্য দোয়া চাওয়া এবং নিজের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।


সফরের মধ্যে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার অনুমতি রয়েছে। চার রাকাত ফরজ নামাজ দুই রাকাতে পড়া যায়, যা সফরকারীদের জন্য কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরা নিসা: ১০১)।


সফরে রমজানের রোজা রাখা কষ্টকর হলে তা ভাঙার অনুমতি রয়েছে, তবে পরবর্তীতে তা কাযা করতে হবে (সূরা বাকারা: ১৮৫)।


নামাজের আগে আজান দেওয়া সুন্নত, যা সফরেও পালনের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, সফর যেন এক ধরনের কষ্ট। তাই সফরের সময় ও ফিরে আসার পর তওবা ও জিকিরে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সফরকালে দুর্বল ও সমস্যাগ্রস্তদের সাহায্য করা উত্তম আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে সঙ্গীদের সেবা করতেন এবং অন্যদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ দিতেন।


ভাল কাজের উদ্দেশ্যে সফর করা সওয়াবের কাজ হিসেবে গণ্য হয়। সফর শেষে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা সুন্নত, যা রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আমল দ্বারা প্রমাণিত (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭১৬)। সফরের সময় আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা এবং প্রতিটি কাজ সুন্নত মোতাবেক করা উচিত। এতে সফর কষ্টকর হলেও তা আল্লাহর রহমত দ্বারা প্রশান্তি নিয়ে আসবে।


thebgbd.com/NIT