শীতের শেষের দিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, তাই পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুমি শাকসবজি যেমন পালং শাক, মেথি শাক, সরিষা শাক এবং ফুলকপি, ব্রোকলি, গাজর, বিট খাওয়া ভালো, কারণ এগুলো ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, দুধ এবং দই শরীর গরম রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাদাম, কাজু, চিনাবাদাম, আখরোট ও তিলের মতো শুকনো ফল ও বীজ শরীরকে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ও এনার্জি দেয়।
শীতের শেষের দিকে মৌসুমি ফল যেমন কমলা, মাল্টা, আমলকি, পেয়ারা খাওয়া ভালো, কারণ এগুলো ভিটামিন সি সরবরাহ করে, যা ঠান্ডাজনিত অসুখ প্রতিরোধে সহায়ক। এছাড়া খেজুর ও মধু খেলে শরীর গরম থাকে এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।
গুড় ও বিভিন্ন ধরনের লাড্ডু শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তিল-গুড়ের লাড্ডু ও বাদামের লাড্ডু উপকারী। হালকা গরম স্যুপ, বিশেষ করে মুরগি বা সবজির স্যুপ শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি, কারণ শীতের শেষে শুষ্ক আবহাওয়া ত্বক ও শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। গরম ভেষজ চা, আদা চা বা তুলসি চা শরীরকে গরম রাখে ও সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
এই সময় ভারী ও তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়াই ভালো, কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হজমপ্রক্রিয়া কিছুটা ধীর হতে পারে। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ঋতু পরিবর্তনের ধকল সহজে সামলানো যাবে।