চলতি মাসের মাঝামাঝি প্রথমে ইসরায়েল এবং তারপর আরব রাষ্ট্রগুলোতে তার প্রথম সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, রুবিও মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং তারপর ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সৌদি আরব সফর করবেন। ধারনা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে আরবদেশগুলোকে রাজি করাতে নানাবিধ প্রস্তাব দিতেই রুবিওর এই সফর।
মঙ্গলবার ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা দখল এবং এর ২০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মার্কিন বাহিনী পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে বিশ্বকে হতবাক করে দেন। তবে রুবিও পরে বলেন ট্রাম্প অস্থায়ী স্থানান্তরের কথা বলেছেন।
হামাসের এক নজিরবিহীন হামলার জবাবে ইসরায়েলের অবিরাম হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের পুনর্গঠনের জন্য অর্থায়ন করছে। বৃহস্পতিবার ডোমিনিকান রিপাবলিক সফরের আগে রুবিও আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্প গাজার পুনর্গঠনের জন্য এমন দেশগুলোর কাছ থেকে সমর্থন চাইছেন যাদের গাজাকে সহায়তা করার জন্য ‘অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত’ উভয় ক্ষমতা রয়েছে।’ তিনি সম্ভবত ধনী উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথোপকথন শুরু করেছেন যা রুবিও চালিয়ে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বৃহস্পতিবার রাতে ল্যাটিন আমেরিকায় তার প্রথম সফর থেকে ফিরে এসেছেন। দ্বিতীয় সফরে শীর্ষস্থানীয় এই মার্কিন কূটনীতিক মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন।
ট্রাম্প রিয়েল এস্টেট জগতের তার বন্ধু স্টিভ উইটকফকে এই অঞ্চলে বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। উইটকফ সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একজন বিদায়ী দূতের সঙ্গে কাতারের মধ্যস্থতায় গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করেন।
বাইডেনের অধীনে রুবিওর পূর্বসূরী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করার জন্য এই অঞ্চলে ১২টি সফর করেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড