যা ইঙ্গিত করেছিল এক্সিট পোল সেটাই ঘটতে চলেছে দিল্লিতে। এই মুহূর্তে বিজেপে এগিয়ে ৪৮টি আসনে। আপ সেখানে মাত্র ২২টিতে এগিয়ে। তার চেয়েও বড় ধাক্কা, ইতিমধ্যেই পরাজিত হয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
জঙ্গপুরা আসনে ৬৭৫ ভোটে হারতে হয়েছে মণীশ সিসোদিয়াকে। অন্যদিকে নয়াদিল্লি আসনে ৩ হাজার ভোটে হার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। স্বাভাবিক ভাবেই এই দুই হেভিওয়েট নেতার পরাজয় যেন শনিবাসরীয় সকাল-দুপুরে আপের পরাজয়ের প্রতীকী ছবি হয়ে উঠেছে। যদিও দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মার্লেনা জিতে গিয়েছেন। এগিয়ে আমানুতুল্লা খানও। কিন্তু আপের সামগ্রিক ফলকে চিহ্নিত করছে কেজরি-সিসোদিয়ার পরাজয়ই।
দিল্লির দরবারে কি ফিরতে চলেছে বিজেপি? প্রাথমিক ট্রেন্ড কিন্তু সেদিকেই ইঙ্গিত করতে শুরু করে। কিন্তু তবুও আত্মবিশ্বাসী অতিশীকে বলতে শোনা গেছে, ‘এবারের দিল্লি নির্বাচন আসলে শুভ ও অশুভের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে দিল্লির জনাদেশ থাকবে কেজরির পক্ষেই।’ কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই স্পষ্ট হয়েছে দিল্লির মানুষের রায় এবার পরিবর্তনের দিকে।
আগের দুবার আপের জয় ছিল ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মতো। ২০১৫ সালে যেখানে আপ পেয়েছে ৬৭টি আসন, সেখানে ২০২০ সালে তাদের সংগ্রহে ছিল ৬২। কিন্তু এবার খাতা একেবারেই উলটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপ শেষপর্যন্ত বিশটির বেশি আসন আদৌ পাবে কিনা তা নিয়েই সংশয়। তবে সেই সংখ্যা যদি অল্প বাড়েও, ২৭ বছর পরে বিজেপির দিল্লি দখল যে সময়ের অপেক্ষা তা বোধহয় শনিবার দুপুর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসজেড