ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পদত্যাগের কারণ জানালেন সৈয়দ জামিল

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১ মার্চ, ২০২৫
পদত্যাগের কারণ জানালেন সৈয়দ জামিল গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সৈয়দ জামিল আহমেদ।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও আমলাতন্ত্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং বাজেট কর্তনের অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি শিল্পকলা একাডেমির সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন এবং পরে সংবাদ মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন।


লিখিত বক্তব্যে ড. জামিল আহমেদ বলেন, ‘উপদেষ্টা এবং মন্ত্রণালয়ের অবৈধ হস্তক্ষেপ, দীর্ঘসূত্রিতার জটিলতা, একাডেমির সচিবকে “ফোকাল পারসন” হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া, বাজেট কর্তন, ফাইল গায়েব হওয়া, একাডেমির কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতিবাজদের নানা অপতৎপরতার কারণে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমলাতন্ত্রের কারণে একবারে ১০ বার ফোন করে টাকা আদায় করার কাজটি আমার ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নয়, এটি একাডেমির জন্য। যখন সেই কাজটি করতে পারি না এবং বাধার সম্মুখীন হই, তখন এখানে থাকা অর্থহীন।’


তিনি অনুষ্ঠানে শহীদ আনাসকে স্মরণ করে বলেন, ‘আনাসসহ দেড় হাজার শহীদের রক্তের জন্য আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এ দায়িত্ববোধের কারণে আমি ব্যক্তিগত জীবন উপেক্ষা করে শতভাগ সময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জন্য কাজ করেছি। আমি কখনও কোনো অনৈতিক কাজ বা আর্থিক অনিয়ম করতে চাইনি।’


শিল্পকলা একাডেমিতে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি মহাপরিচালক পদে যোগদান করি, তখন উপদেষ্টা এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একাডেমির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সম্মত হন এবং তাদের সম্মতির ভিত্তিতেই আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। তবে উপদেষ্টা পরিবর্তনের পর থেকে আমার সব ন্যায্য কাজেও অনৈতিকভাবে বারবার হস্তক্ষেপ শুরু হয়।’


তিনি একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন, যেমন, ‘শিল্পকলা একাডেমির আইন অনুযায়ী প্রতি তিন মাসে একাডেমির সভা হওয়ার কথা, কিন্তু উপদেষ্টা পাঁচ সপ্তাহ সময় নিয়ে সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করেছেন।’ এছাড়া, একটি ভিডিও নির্মাণের জন্য উপদেষ্টা টাকা প্রদানের জন্য চাপ দিলে, তিনি তা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন।


সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের সচিব জানিয়েছেন, তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র পাননি।


thebgbd.com/NIT