অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার বলেছে, অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে বিরোধী নেতা টুন্ডু লিসুকে মুক্তি দিতে হবে। লিসুকে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তানজানিয়ার প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছে। নাইরোবি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি ক্রমবর্ধমানভাবে তার বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। লিসুর চাদেমা দল প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানকে অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার পূর্বসূরীর দমনমূলক কৌশলে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।
বিরোধী দলীয় নেতাকে বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামের একটি আদালতে তোলা হয় এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়, যা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক টাইগার চাগুতাহ শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তানজানিয়ার সরকাকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে টুন্ডু লিসুকে মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকারের ‘দমন অভিযান’-এর ফলে ‘২০২৪ সালে চারজন সরকারি সমালোচক নিখোঁজ এবং একজনকে বেআইনিভাবে হত্যা করা হয়েছে’। পুলিশ বিরোধী দলের সদস্যদের ‘গণগ্রেপ্তার, নির্বিচারে আটক এবং বেআইনি বলপ্রয়োগ করেছে।’
‘সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার কঠোর কৌশলের’ও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি তানজানিয়াকে ‘দেশে মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ওপর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। যার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দেশে বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের ওপর তার পূর্বসূরি জন মাগুফুলি যে বিধিনিষেধ আরোপ করেন, তা শিথিল করার জন্য হাসানকে প্রথমে সম্মানিত করা হয়। তবে মানবাধিকার গোষ্ঠী ও পশ্চিমা সরকারগুলো চাদেমা রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বিরোধী ব্যক্তিত্বদের অপহরণ ও হত্যার মতো ঘটনাগুলোকে নতুন করে দমন-পীড়ন হিসেবে দেখছে বলে সমালোচনা করেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড