রুশ বাহিনীর তীব্র হামলার মুখে খারকিভের সীমান্ত এলাকার কয়েকটি গ্রাম থেকে সেনাসদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। এরইমধ্যে খারকিভ অঞ্চলের আরও দুটি গ্রাম নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে রাশিয়া। বুধবার (১৫ মে) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় আকস্মিক স্থল অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। তাদের হামলায় টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনের সামরিক এক মুখপাত্র বলেছেন, ভারি গোলাবর্ষণের মুখে সেনারা সরে গিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুটো এলাকায় ‘আরও সুবিধাজনক অবস্থান’ নিয়েছে। ভোভচানস্ক এবং লিকিয়ান্তসি থেকেও ইউক্রেনের সেনারা সরে গেছে।
ইউক্রেনের ওই সামরিক মুখপাত্র আরও জানান, সেনাদের জীবন রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ সেনারা ভোভচানস্ক শহরের সম্মুখসারিতে অবস্থান নিয়েছে।
ভোভচানস্ক শহরের পুলিশ প্রধান ওলেক্সি বলেন, পরিস্থিতি খুবই কঠিন। শত্রুসেনারা ভোভচানস্ক শহরের রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কয়েকটি বিদেশ সফর বাতিল করেছেন।
এদিকে মস্কো খারকিভ অঞ্চলের লুকিয়ানৎস্কি ও হলিবোক এলাকা দখলে নিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে। জাপোরিঝিয়াতেও একটি এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে তারা।
তবে রাশিয়ার এই দাবির ব্যাপারে ইউক্রেন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার সময় রুশ সেনাবাহিনী খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায়। তবে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সম্প্রতি ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্য দেখাচ্ছে রুশ বাহিনী।