মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, কানাডার নির্বাচনে চার দিনের আগাম ভোটদানে রেকর্ড ৭৩ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন। এটি আগামী ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনে ভোটদানে আগ্রহ বৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে। অটোয়া থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
নির্বাচন কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তাদের আনুমানিক ভোটদানের সংখ্যা ২০২১ সালের ভোটে ৫৮ লাখ আগাম ভোটদানের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। ইলেকশনস কানাডা গত নভেম্বরে জানিয়েছে, ৪ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কানাডায় ২ কোটি ৮৯ লাখ যোগ্য ভোটার রয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে নির্বাচনী প্রচারণা ভোটারদের উৎসাহিত করেছে। কানাডার যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধান নেতারা বিতর্কে লিপ্ত হয়। যার মধ্যে গত সপ্তাহে দুটি বিতর্কের রেটিং বা মান অস্বাভাবিকভাবে বেশি।
লিবারেল পার্টির নেতা, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এগিয়ে আছেন। তবে কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে পিয়েরে পোইলিভরের কনজারভেটিভ পার্টি ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত, পাবলিক ব্রডকাস্টার সিবিসির জরিপ থেকে জানা গেছে, লিবারেলরা ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছে। অন্যদিকে টোরিরা ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছে। সিবিসির তথ্য অনুসারে, গত দুই সপ্তাহে কনজারভেটিভরা এক পয়েন্ট লাভ করেছে।
কানাডা এবং ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্বদানকারী ৬০ বছর বয়সী কার্নি যুক্তি দিয়েছেন, যে অর্থনৈতিক সংকট পরিচালনায় তার বিশ্বব্যাপী অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্কের কারণে সৃষ্ট বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্য দিয়ে কানাডাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আদর্শ প্রার্থী তিনি।
এদিকে, পোইলিভর বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এক দশকের ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্বল প্রবৃদ্ধি কানাডাকে ট্রাম্পের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে এবং দেশটি টানা চতুর্থ লিবারেল সরকার পরিচালনা করতে পারে না।
কানাডার বেশিরভাগ নির্বাচনই বহুদলীয় লড়াই, যেখানে বামপন্থী নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং কুইবেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্লক কুইবেকোয়া সংসদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ বছর, জরিপগুলো দুই দলের লিবারেল-কনজারভেটিভ প্রতিযোগিতার দিকে ইঙ্গিত করছে। যেখানে ছোট দলগুলো উল্লেখযোগ্য পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড