ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক দিন

মঙ্গলবারের এই প্রতীকী অর্জনকে জাতিসংঘে মিশরের প্রতিনিধিদল উষ্ণ সমর্থন জানায় এবং এটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করে।
  • | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক দিন ফিলিস্তিন জাতিসংঘে কিছু অতিরিক্ত অধিকার লাভ করেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিন প্রথমবারের মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বসার সুযোগ পায়। এটি ছিল ফিলিস্তিনের জন্য এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়, যেখানে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ লাভের শর্ত পূরণকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানো হয় যেন তারা ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ গ্রহণের বিষয়ে বিবেচনা করে।

এই অধিবেশনে ফিলিস্তিন জাতিসংঘে কিছু অতিরিক্ত অধিকার লাভ করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সদস্য রাষ্ট্রদের সঙ্গে অধিকার, প্রস্তাব ও এজেন্ডা উত্থাপন করার সুযোগ এবং বিভিন্ন কমিটিতে অংশগ্রহণের সুযোগ। তবে, ফিলিস্তিন এখনো ভোটাধিকার পায়নি। খবর আরব নিউজের।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মঙ্গলবারের এই প্রতীকী অর্জনকে জাতিসংঘে মিশরের প্রতিনিধিদল উষ্ণ সমর্থন জানায় এবং এটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা এর বিরোধিতা করে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার ভাষণে বলেন, ৭৯তম অধিবেশন এমন এক সময়ে শুরু হচ্ছে যখন বিশ্ব নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে, কিন্তু আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব। তিনি জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলেন, ‘জাতিসংঘ সবসময়ই বহুপাক্ষিক সমাধানের স্থান হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে সহযোগিতা, সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যায়।’

গুতেরেস অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আরও বলেন, ‘আমরা যদি ধাপে ধাপে কাজ করি, তবে আমরা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা পুনর্গঠন করতে পারব এবং একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করতে পারব।’

এই অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন ক্যামেরুনের ফিলেমন ইয়াং, যিনি এ বছর সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বছরের আলোচনায় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রধান আলোচনা হিসেবে থাকবে। এ বছর সাধারণ বিতর্কের পাশাপাশি ‘ভবিষ্যতের জন্য চুক্তি’ শীর্ষক একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কার্যকর বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা হবে।