ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ একের পর এক আক্রমণে চেপে ধরেছিল সফরকারী এস্পানিওলকে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের সমস্যার কারণে প্রথমার্ধে ডেডলক ভাঙতেই পারেনি লস ব্লাঙ্কোরা। বিরতির পরও আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে মাদ্রিদ। কিন্তু এই ধাক্কাই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের তাঁতিয়ে দেয়। আর সেই আগুনেই পুড়ে ছাই হয়েছে কাতালান দলটি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার খেলায় এস্পানিওলকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এদিন রিয়ালের জয়ের নায়ক বদলি হিসেবে নামা ভিনিসিউস জুনিয়র। গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন তিনি।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের হয়ে গোল করেন দানি কার্ভাহাল, রদ্রিগো, ভিনিসিউস জুনিয়র এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে। এস্পানিওলের একমাত্র গোলটি রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তয়ার আত্মঘাতী।
গত মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত টানা ৩৮ ম্যাচে অপরাজিত (২৮ জয় এবং ১০ ড্র) থেকে রেকর্ড ছুঁয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। pতারা ছুঁয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদের রেকর্ড। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত (২২ জয়, ১৬ ড্র) ছিল সোসিয়েদাদ।
স্পেনের শীর্ষ লিগে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড বার্সেলোনার। ২০১৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৪৩ ম্যাচে (৩৪ জয় এবং ৯ ড্র) অপরাজিত ছিল কাতালান জায়ান্টরা।
এদিন ম্যাচের পুরোটা জুড়েই রিয়ালের আধিপত্য ছিল। গোলের জন্য মট ৩১টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে লস ব্লাঙ্কোরা। অন্যদিকে এস্পানিওল ১০টি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
তবে প্রথমার্ধে ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল করতে ব্যর্থ হয় রিয়াল। একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় এস্পানিওল। বাঁ দিক থেকে বক্সে ঢুকে বাই লাইন থেকে শট নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড কারো। বল লক্ষ্যে না থাকলেও কোর্তয়ার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। একুশ শতকে রিয়ালের প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে আত্মঘাতী গোল করলেন কোর্তয়া।
তবে এস্পানিওলের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৮ মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে সমতায় ফেরে রিয়াল।
বক্সের বাইরে থেকে ভালভার্দের শট ঠেকিয়ে দেন গার্সিয়া। এস্পানিওলের এক ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে শট নেন বেলিংহ্যাম। বল ধরার চেষ্টা করলেও তার হাত লেগে শরীরের নিচ দিয়ে চলে যায় গোলমুখে। ফাঁকা জালে বল পাঠান কার্ভাহাল।
৭৫ মিনিটে দুই ব্রাজিলিয়ানের যুগলবন্দীতে এগিয়ে যায় রিয়াল। বদলি নামা ভিনিসিউস বাঁ দিক থেকে টোকায় নিচু ক্রস দেন বক্সে। ছোট বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন রদ্রিগো।
৭৮ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান ভিনিসিউস। এমবাপ্পের থ্রু বল বাড়ান বক্সে। ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ের কোণাকুনি নিচু শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। লা লিগায় চলতি মৌসুমে ৩ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট করলেন ভিনি।
৮৪ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নামা এন্দরিক পেনাল্টি আদায় করে নেন। স্পট কিক থেকে মৌসুমের ষষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপ্পে।
৬ ম্যাচে ৪ জয় এবং ২ ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। রিয়ালের সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে এস্পানিওল।