মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র কয়েক দিন। এমন সময় ভোটের প্রচারণায় ফিলিস্তিনপন্থি সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এবার মার্কিন নির্বাচন এমন সময় হচ্ছে, যখন মার্কিন মদদে ও সহায়তায় এক বছর ধরে গাজায় নিষ্ঠুর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, লেবাননেও অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং মুসলিম ভোটাররা। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা বলেছে, বুধবার পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে অনুষ্ঠিত ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমাবেশে বাধা দেন ফিলিস্তিনপন্থি কিছু সমর্থক। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো গণহত্যা এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা ‘এখনই গণহত্যা বন্ধ করুন’ স্লোগান তুলে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বেশ কয়েকবার বক্তৃতা ব্যাহত করতে থাকেন।
এ সময় কমলা হ্যারিসকে বলতে শোনা যায়, প্রতিবাদকারীদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু আমাকে আমার বক্তৃতা শেষ করতে দিন। ইভেন্ট আয়োজকরা ফিলিস্তিনি পতাকা বহনকারীদের এবং তাদের সমর্থকদের হল থেকে জোরপূর্বক সরানোর চেষ্টা করতে দেখাও যায়।
বার্তসংস্থা এএফপির জানিয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। দুপক্ষই গাজা যুদ্ধ বন্ধের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে নেতানিয়াহু সরকারকে যা ইচ্ছে করার প্রকাশ্য সমর্থনও দিচ্ছেন তারা।
সমালোচকদের অনেকে মনে করেন, গাজা যুদ্ধ মার্কিন নির্বাচনি প্রচারণনায় একটা পণ্যের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে, আদতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে থামাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউই। যা হচ্ছে তা হঠকারিতা।