ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট

এক এবং দুই লিটারের বোতল প্রায় ৯০ শতাংশ নিঃশেষ হয়ে গেছে, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট সংগৃহীত

রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছিল। তবে, বর্তমানে এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এক এবং দুই লিটারের বোতল প্রায় ৯০ শতাংশ নিঃশেষ হয়ে গেছে, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।


বিক্রেতাদের অভিযোগ, তারা চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ তেল পাচ্ছেন, যা তাদের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। বাজারে কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, এবং যা পাওয়া যাচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষত, এক এবং দুই লিটারের বোতল সরবরাহের ক্ষেত্রে তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।


কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানি নোমান জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি প্রয়োজনীয় পরিমাণ বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না, যার ফলে অন্যান্য পণ্য বিক্রিতে সমস্যায় পড়েছেন। তার মতে, কোম্পানি এবং ডিলাররা মিলেই দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই সংকট সৃষ্টি করেছে।


তেল কিনতে আসা তোফায়েল বলেন, বেশ কিছু দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাননি। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও, তারা বিক্রি করছে না। বাধ্য হয়ে তিনি বাড়তি দামে খোলা সয়াবিন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।


এদিকে, আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ায় তেলের সরবরাহ কমে গেছে। বিশ্ববাজারের হিসাব অনুযায়ী, এক লিটার তেলের দাম ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে। এর ফলে চাহিদার তুলনায় আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে।


ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেন, মূল্য সংযোজন কর কমানোর মতো নানা উদ্যোগের পরও সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তেলের দাম কমানোর পরিবর্তে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও সতর্ক করেন, যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে আসন্ন রমজানে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।


এটি উল্লেখযোগ্য যে, গত অক্টোবর মাসে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে দুই দফায় শুল্ক-কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। শুল্ক-কর কমানো সাধারণত একটি পণ্যের আমদানি বাড়াতে এবং তার দাম কমাতে সহায়ক হলেও, দেশে এই পদক্ষেপের বিপরীতে তেলের দাম বাড়ছে, যা বাজারে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে।


thebgbd.com/NIT