মাদক মামলায় ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ২০ বছর বন্দি ৬১ বছর বয়সী এক ফরাসীকে ফেরত পাঠাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করেছে ফ্রান্স। ইন্দোনেশিয়ার একজন সিনিয়র মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার জাকার্তা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
২০০৫ সালে জাকার্তার কাছে একটি মাদক তৈরি ‘কারখানা’ থেকে গ্রেপ্তার হন ৪১ বছর বয়সী ওয়েল্ডার সার্জ আতলাউই। সেই সময়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে ‘রসায়নবিদ’ হিসেবে অভিযুক্ত করে। অভিযোগে বলা হয় সার্জ মাদক তৈরিতে প্রধান সহায়তাকারি হিসেবে কাজ করছিলেন।
বিশ্বের কিছু কঠিনতম মাদক আইন রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়, দেশটিতে পাচারকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে এবং অতীতে বেশ সংখ্যক বিদেশীদের মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার এক ফিলিপিনো মা এবং তথাকথিত ‘বালি নাইন’ ড্রাগ রিং-এর শেষ পাঁচ সদস্যসহ মৃত্যুদণ্ডে থাকা একাধিক হাই-প্রোফাইল বিদেশী বন্দি ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সিনিয়র আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রী ইউসরিল ইহজা মহেন্দ্র এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সার্জ আতলাউইকে ফেরতের অনুরোধসহ একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছি।’ তিনি বলেন, বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটির পর ‘জানুয়ারির শুরুতে’ অনুরোধটি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সার্জ আতলাউই তার সবসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন এবং দাবি করেছেন তিনি কারখানাটিকে অ্যাক্রিলিক্স প্ল্যান্ট ভেবে তিনি সেখানে যন্ত্রপাতি স্থাপন করছিলেন। প্রথমে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, কিন্তু দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ২০০৭ সালে আপিলের রায়ে সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
বন্দি ফেরতের জন্য চলমান আলোচনা সত্ত্বেও, ইন্দোনেশিয়ার সরকার সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে, দেশটিতে ২০১৬ সাল থেকে স্থগিত থাকা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মাদক অপরাধীদের আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শুরু করবে।
সূত্র: বিবিসি
এসজেড