ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কুম্ভমেলার জন্য প্রস্তুত ভারত

কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা, যমুনা ও পৌরানিক সরস্বতী নদীর মোহনায়। যেখানে হাজার হাজার মানুষ পূন্য লাভের আশায় গোসল করে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
কুম্ভমেলার জন্য প্রস্তুত ভারত ঐতিহাসিক কুম্ভমেলা।

সোমবার ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বে মানুষের সবচেয়ে বড় জমায়েত কুম্ভমেলা। ছয় সপ্তাহের এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে চল্লিশ কোটি পুণ্যার্থী অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আয়োজকরা বলছেন, কুম্ভমেলার প্রস্তুতির ব্যাপারটা এমন, তাদেরকে একটা অস্থায়ী দেশ তৈরি করতে হচ্ছে। যে দেশে যুত্তরাষ্ট্র ও কানাডার সম্মিলিত মানুষের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ছয় সপ্তাহের জন্য বাস করবে। খবর এএফপি’র।  


মেলার মুখপাত্র বিবেক চতুর্বেদী বলছেন, পয়ত্রিশ কোটি থেকে চল্লিশ কোটি ভক্ত-সাধু মেলায় আসছেন; বুঝতেই পারছেন প্রস্তুতির ব্যাপারটা কেমন। চতুর্বেদী আরো বলছেন, প্রায় দেড় লাখ টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। কমিউনিটি রান্নাঘরের একটি থেকে একবারে পঞ্চাশ হাজার মানুষ খেতে পারবে। মেলা স্থলে আটষট্রি হাজার এলইডি লাইট সেট করা হয়েছে যার আলো আকাশ থেকে দেখা যাবে। 


ভারত সরকার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শেষবার অনুষ্ঠিত আধা কুম্ভমেলায় চব্বিশ কোটি পুণ্যার্থী অংশ নেয়। ভারত সরকার কুম্ভমেলাকে ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক মেলবন্ধন হিসাবে ভাবে। যা একটা ছোট ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে। যেখানে কোনও নিমন্ত্রণ ছাড়াই কোটি কোটি মানুষ।  ইউনেস্কো এই কুম্ভমেলাকে আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।


কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা, যমুনা ও পৌরানিক সরস্বতী নদীর মোহনায়। যেখানে হাজার হাজার মানুষ পূন্য লাভের আশায় গোসল করে। অনেকে সপ্তাহ ধরে হেঁটে মেলাস্থলে পৌঁছেন। হিন্দুরা মনে করে যারা গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর পবিত্র জলে গোসল করে তারা পাপ থেকে মুক্ত হয়। পুনর্জন্মের চক্র ভেঙ্গে বেরিয়ে যায়। পাপ থেকে পরিত্রাণ পায়।   


সূত্র: এনডিটিভি


এসজেড