ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপ জয়ী শরিফুল এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

একটা বিশ্বকাপ জিতেছেন আরেকটা জেতার সুযোগ তার সামনে। কঠিন, অনেকের কাছে অসম্ভব, কিন্তু সেই অসম্ভবকে আগেও তো করেছেন সম্ভব।
  • | ১৮ মে, ২০২৪
বিশ্বকাপ জয়ী শরিফুল এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফাইল ছবি

একটা বিশ্বকাপ জিতেছেন আরেকটা জেতার সুযোগ তার সামনে। কঠিন, অনেকের কাছে অসম্ভব, কিন্তু সেই অসম্ভবকে আগেও তো করেছেন সম্ভব। শরিফুল ইসলাম, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশের তুরুপের তাস। নতুন বলে উইকেট আর রান চেক দুটোই দিতে হবে সমান তালে। শরিফুল কতটা প্রস্তুত সেই লক্ষ্যে।


৪ বছর ৩ মাস ৮ দিন। পেছনের সেই মুহূর্তটা ছিলো বড্ড রঙিন। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ছুটে চলা ১১ ইয়াং টাইগারের মাঝে একজন নজর কেড়েছিলেন বেশ। সেই উড়ন্ত, আগ্রাসনে মত্ত বাঘটি ছিলেন শরিফুল ইসলাম।


সময়ের পালাবদলে সেই শরিফুলের সামনে এবার নতুন চ্যালেঞ্জ। ফরম্যাট বদলেছে, বদলেছে যুদ্ধের মঞ্চ, কিন্তু লক্ষ্যটা ওর রয়ে গেছে আগের মতো। বিশ্বজয়। আমেরিকায় চার যুব বিশ্বজয়ীর মাঝে তাই স্পটলাইটে শরিফুল ইসলাম।


যদিও এটাই টাইগার পেসারের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট নয়। সবশেষ ২০২২ অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও মাঠে ছিলেন এই ইয়াং টাইগার। খেলেছিলেন একটা ম্যাচ। অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে সেই নার্ভ ক্রাঞ্চিং দিনে উইকেট কিংবা রান চেক কোনোটাই দিতে পারেননি।


কিন্তু তাতে কি? ঘুরে দাঁড়াতেও সময় নেননি শরিফুল। ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ১০টা টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নিয়েছেন ১১টা, ইকোনমি নামিয়ে এনেছেন আটেরও নিচে। 


সবশেষ বিপিএলে শরিফুল এককথায় ফাটিয়ে দিয়েছেন। ঢাকার হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট। হায়েস্ট উইকেট টেকার হয়ে শরিফুল সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন।


জাতীয় দলে শরিফুলের কাজ বেশ স্পেসিফিক। নতুন বল নাও, উইকেট আর রান চেক দাও। পাওয়ার প্লেতে শরিফুলের দুই ওভার তাই মাস্ট, বাকি দুটা সাধারণত ১১ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে করে থাকেন শরিফুল।


সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার প্লেতে শরিফুলের স্ট্যাট বেশ ঈর্ষণীয়। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ৫.১৬ ইকোনমিতে বল করে উইকেট পেয়েছেন ১টা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও পাওয়ার প্লেতে ইকোনমি ছিলো ছয়ের নিচে (৫.৭৫)। 


তবে পেসার হিসেবে শরিফুলের আসল মূল্যায়ন অ্যাওয়েতে। যেখানে গেল নিউজিল্যান্ড সফরে শরিফুল পাওয়ার প্লেতে এককথায় ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৬ ইকোনমিতে বল করে উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ৪টা। ধারণা করা হচ্ছে আমেরিকায়ও সিমিলার কন্ডিশনই পেতে যাচ্ছেন টাইগার পেসার।


এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মোট চার পেসার। সৌম্যকে পার্টটাইম ধরলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় পাঁচ। তবে এটা ঠিক ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের মঞ্চে শরিফুলের স্টার্টিংই ঠিক করে দেবে বাংলাদেশের ম্যাচ ভাগ্য।