ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ উল্লেখ করে কড়া সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সম্পর্ক নিয়ে মাক্রোঁ যে মন্তব্য করেছেন, সেটিকে ‘ভিত্তিহীন কল্পকাহিনি’ বা ‘চমকপ্রদ বাজে বকবকানি’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেসিএনএ। সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ- প্রকাশিত এক মন্তব্যে বিশ্লেষক চো জু হিউন সিঙ্গাপুরের শাংরি-লা ডায়ালগে ফরাসি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগে মাক্রোঁর বক্তব্যের জেরেই এই সমালোচনা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট সেখানে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে মস্কোকে সহযোগিতা করায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে চীনের কঠোর চাপ প্রয়োগ করা দরকার। তা না হলে ন্যাটো জোট এশিয়া অঞ্চলেও সক্রিয় ভূমিকায় নামতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্লেষক চো জু হিউন বলেন, ‘মাক্রোঁ যদি মনে করেন, ডিপিআরকের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে অজুহাত ধরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ন্যাটো নগ্ন সামরিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা করবে, তাহলে তা হবে মারাত্মক ভুল।’ উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নাম ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া বা ডিপিআরকে।
হিউন আরো বলেন, ‘মাক্রোঁ এমন এক রাজনীতিক, যিনি নিজের অস্তিত্ব জাহির করতে প্রতিনিয়ত চমকপ্রদ, বাস্তবতা বিবর্জিত ও অপরিণামদর্শী বক্তব্য দিতে ভালোবাসেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘ফ্রান্স চরম আত্মঅহংকারে আচ্ছন্ন এবং বর্তমান পরিস্থিতি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ।’
চো’র ভাষ্য অনুযায়ী, ‘ফ্রান্সের এই দ্বিমুখী আচরণই দেশটিকে ইউরোপের প্রতিনিধিরূপে স্বীকৃতি পেতে বাধা দিচ্ছে। তাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব এই বাস্তবতা অনুধাবন করা।’ ইউক্রেনে রাশিয়ার তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান অভিযানে উত্তর কোরিয়া মস্কোর অন্যতম প্রধান মিত্র। কেসিএনএ জানায়, পিয়ংইয়ং কুর্স্ক সীমান্ত অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী হটাতে সহায়তা করতে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
